দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট করে দেয়ার জন্য বন্ধের মধ্যেও পাসপোর্ট অফিস খোলা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পাসপোর্টটি তৈরি করে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ যাওয়ার পর পরই পাসপোর্ট মিলবে খালেদা জিয়ার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্টের জন্য সশরীরে উপস্থিত থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেওয়ার নিয়ম থাকলেও খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই শর্ত শিথিল করে পাসপোর্ট করে দেয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পাসপোর্টের ফি জমা দিয়ে সন্ধ্যার পর পাসপোর্টের আবেদন আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে জমা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার পাসপোর্ট অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তার পাসপোর্টটি করে দেয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা রাখা হয়েছে। সরকারের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পাসপোর্ট করে দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান। ২০১৯ সালে খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, খালেদা জিয়ার পরিবার খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার অনুমতি পেতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেন। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জমা দেন খালেদার ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে আবেদনপত্রটি পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।
Leave a Reply